১০। বাংলাদেশ শ্রম আইনে ছুটির পদ্ধতি
বাংলাদেশ শ্রম আইনে ছুটির পদ্ধতি
✓মোঃ তানভীর আহমেদ™
বাংলাদেশ শ্রম আইনের দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলীর ১০ম ধারায় ছুটির পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
১০(১) ধারা অনুযায়ী কোনো শ্রমিক ছুটি নিতে চাইলে তাকে তার মালিকের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে যাতে তার ছুটিতে অবস্থানকালীন ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১০(২) মালিক বা শ্রমিকের ঊর্ধ্বতন কর্মচারী আবেদন প্রাপ্তির পর ৭ দিনের মধ্যে অথবা যে তারিখ থেকে ছুটি পাবার আবেদন করা হয়েছে তার দুই দিন আগে এর মধ্যে যে দিন আগে সংঘটিত হয় সেদিনই ছুটির আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দিতে হবে।
মোট কথা ছুটি আরম্ভের অন্তত দুই দিন আগে মালিককে ছুটি দিবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশনামা তৈরি করতে হবে।
যদি জরুরি ভিত্তিতে ছুটির প্রয়োজন হয় মানে যে তারিখে আবেদন করা হয়েছে সেদিনই ছুটি প্রয়োজন বা তার তিন দিন পরই ছুটি শুরু করতে হয় তাহলে আবেদন পাবার সাথে সাথে ছুটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের আদেশ দিতে হয়।১০(৩) প্রার্থিত ছুটি মঞ্জুর করলে ছুটিতে যাওয়া শ্রমিককে ছুটির একটি পাস দিতে হয়।
১০(৪) ছুটি নামঞ্জুর বা স্থগিত করলে ছুটি আরম্ভের তারিখের আগেই সে শ্রমিককে কারণসমেত জানাতে হবে এবং ছুটির রেজিস্টারে সেটা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
১০(৫) ছুটিতে যাবার পর ছুটির মেয়াদ বাড়াতে চাইলে যদি ছুটি পাওনা থাকে তবে প্রাপ্ত ছুটির মেয়াদ পূর্তির যুক্তিসঙ্গত সময় পূর্বে রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে লিখিত আবেদন কর্মস্থলে মালিকের নিকট পাঠাতে হবে এবং মালিককে বর্ধিত ছুটির আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের কারণ প্রেরকের ঠিকানায় লিখিতভাবে জানাতে হবে।
No comments